ওয়েব ডেস্ক: খুব তাড়াতাড়িই ভারতে বিক্রি হওয়া পেট্রোলে (Petrol) ২০ শতাংশ ইথানল (Ethanol) মেশানো হতে পারে, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, এতে একাধিক লাভ হবে দেশের মানুষের। সম্প্রতি কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। সোমবার সেই জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এই আবহেই টুইটে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করিকে (Nitin Gadkari) সরাসরি আক্রমণ করল তৃণমূল (TMC)।
স্পষ্টভাষণের জন্য শিরোনামেই থাকেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রী নীতিন গড়করি। সোমবার এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, মানুষের জীবনে সততা, নিষ্ঠা ও মূল্যবোধই হওয়া উচিত পথপ্রদর্শক, কোনওভাবেই শর্টকাটে সাফল্য খোঁজা উচিত নয়। কিন্তু তৃণমূলের টুইট অন্য কথা বলছে। ২০২৩-এর ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে বেঙ্গালুরুতে E20 জ্বালানি চালু হয়। এই ইথানল নীতির সবচেয়ে বড় প্রচারক ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি। তাঁর ছেলে নিখিল গড়করি CIAN অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচারের অধিকর্তা।
আরও পড়ুন: শিনা বোরা মামলায় পট পরিবর্তন, চাঞ্চল্যকর জবানবন্দি!
২০২৪-এর জানুয়ারিতে, CIAN ইথানল উৎপাদনের পরিকল্পনা ঘোষণা করে। সেই সময় সংস্থার রেভিনিউ ছিল ১৭ কোটি টাকা। ছবি ঘুরে যায় মাত্র এক বছরেই। ২০২৬-এর শুরুতেই জানানো হয় CIAN-এর বর্তমান রেভিনিউ ৫১১ কোটি টাকা যা এক বছরেই ৩০ গুণেরও বেশি। এই দাবি করেই তৃণমূল আক্রমণ করে স্পষ্টভাষী গড়করিকে। প্রসঙ্গত ই২০ পেট্রোল বা ২০ শতাংশ ইথানল মিশ্রিত পেট্রোল ব্যবহারের কাজ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সম্প্রতি কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের করেছিলেন আইনজীবী অক্ষয় মালহোত্রা। সোমবার সেই জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। কেন্দ্র বলছে এতে একাধিক লাভ হবে দেশের মানুষের। প্রথমত, ইথানল মেশানো হলে লাভবান হবেন কৃষকরা। এ ছাড়াও বিদেশ থেকে কমবে তেল আমদানি। ফলে কমবে দেশের খরচ। যার প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে। তবে কি তৃণমূলের এই আক্রমণ কেবলই রাজনৈতিক কোনও সমীকরণ? সাধারণ নাগরিকের পাশে তৃণমূল, অন্যদিকে গড়করি পরিবারের সমালোচনায়।
দেখুন অন্য খবর: